রাগী | রোমান্টিক বউয়ের গল্প ১৮+

শুভ তিশা কে ফোন দিয়েছে, তিশা রুমে ছিলো না, তাই ফোন ধরতে পারে নি। অন্য দিকে সাথে সাথে ফোন ধরে নি, তাই ফোন রিসিভের পর,

- কী হলো এতক্ষন লাগে ফোন ধরতে??
- আমি তো ছিলাম না রুমে!
- মুড়ি খাও যতসব!
- তুমি মুড়ি খাও!
- ওকে
- আচ্ছা সব সময় রেগে থাকো কেন বলো তো!
- ভালো লাগে তাই।
- লাগবেই তো, আমি তো পুরানো হয়ে গেছি,নতুন একটা মেয়ে কে খুজে নেও।
- থাপ্পড় চিনো?
- দেখো কান্না করবো কিন্তু।
- কী করো?
- গোসল করে আসলাম।
- আচ্ছা খেতে যাও কেমন?
- না, কথা বলবো তোমার সাথে।
- খেয়ে এসে বলবে!!
- না, এখন।
- কথা না শুনলে রাগ হয় কিন্তু
- খেতে ইচ্ছে করে না তো।
- তুমি না অনেক লক্ষী একটা মেয়ে?
-জ্বী অনেক।
- তাহলে খেতে যাও।
-আচ্ছা তুমি ও যাও।"  কথা শেষে শুভ ফোন কেটে দিলো।তিশা তারপরও বসে বসে মোবাইলে গান শুনতেছে।মায়ের ডাকে খেতে গেলো।খেয়ে আসার পর ফোন দিয়ে শুভ কে পায় নি।সে জন্য রাগ করে ফোন অফ করে রেখেছে।শুভ খুব রাগী হলেও তিশা কে খুব ভালোবাসে।শুভর অতিরিক্ত রাগের জন্য।

সন্ধা আযানের আগে শুভ ফোন দিলো,তখন তিশার ফোন অপেন ছিলো।ফোন দেওয়ার সাথে সাথে তিশা ফোন ধরলো,ধরেই তিশা বলল,

[ভালোবাসার গল্প পড়তে সাথে থাকু]

- কেন ফোন দিয়েছো?কে বলেছে ফোন দিতে?
- নিষেধ নাকি ফোন দেওয়া?
- হুম নিষেধ।
- আচ্ছা তাহলে সরি..

বলে শুভ ফোন কেটে দেয়,সাথে সাথে তিশা আবার ফোন দিলো,তখন ফোন ধরে শুভ বলল,

- সরি বললাম না!
- আমি কিন্তু হাত কাটবো!
-বলেছি না একথা আর বলবা না!বলেছি??
- তাহলে এমন কেন করবে? আমি ছোট মানুষ না।
-জ্বী ম্যাডাম আপনি ছোট মানুষ।
- তোমাকে দেখবো....
- কাল কে দেখা করবো।
- না তুমি এখন মার্কেটের ওখানে আসো।
- আযান দিবে এখন।
- নামাজ পড়ে আসবো, তাহলে আসবে?
-কাল কে বলেছি না?
- থাক লাগবে নাহ!!
- ফোন কেটে দিবো?
- যাও কেটে দেও।নামাজ ও পড়বো না রাতে খাবো ও না কথাও বলবো না।
- পারবে না কথা বলে থাকতে?
- নাহ.....
- তো বললে কেন?
- উহুহু আমি ছোট মানুষ না?ছোট রা ভুল করতেই পারে।
- পাগলী একটা।
- জ্বী আপনার পাগলী।
- আচ্ছা এবার কী রাখতে পারি?
- নাহহ,সারাক্ষণ ইচ্ছে হয় কথা বলতে।
- সময় হলে সারাক্ষণ বলতে পারবে,
-আচ্ছা, রাখো।আর শুনো রাতে যদি লেট করে ফোন ধরে তো রাতে একটুও ঘুমাবো না।
-আচ্ছা রাখি।"   রাখি বলেই ফোন কেটে দিলো শুভ,দুপুরের পর থেকে তিশা রেগেই ছিলো।এখন কথা বলার পর রাগ টা কমেছে।তিশা রেগে থাকলে মাঝে শুভ এড়িয়ে চলে।কিন্তু শুভ রাগ করলে তিশা রাগ ভাঙ্গাবে,যদি না পারে কান্না পর্যন্ত করে দিবে।তিশার দিন যেন শুভ কে ছাড়া চলেই না।

[ভালোবাসার গল্প পড়তে সাথে থাকু]

শুভ ছোট বেলা থেকেই এমন, রাগ ছোট বেলা থেকেই বেশি।

প্রতি দিন তিশা কে ১২ টার দিকে ঘুমাতে হবে আর না ঘুমালে শুভ কথা বলবে না। তাই তিশা ১২ টার পরে ঘুমিয়ে পড়ে।

বিকাল বেলা তিশা ফোন দিলো,কিন্তু শুভ তিশা কে রাগানোর জন্য ফোন টা ধরে নি।৭-৮ বার দেওয়ার পর তিশা রেগে ৪-৫ টা মেসেজ দেয়।তখন শুভ সাথে সাথে ফোন ব্যাক করে,করতেই তিশা বলল,
- সব সময় ইগনোর করো কেন?কেন এমন করো?
- শুনো আমার মনে আছে,
- ঘোড়ার ডিম মনে আছে!কী মনে আছে বলো তো...

তখন শুভ...

আসছে পরবর্তী পর্ব.....
লেখকঃ এইচআর নীল

খবর বিভাগঃ সাহিত্য

শেয়ার করুন